আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বন্ধে চ’রম বি’পাকে প্রবাসীরা

বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের সংক্র;মণ বৃদ্ধি পাওয়ায় আগামী ১৪ এপ্রিল থেকে এক সপ্তাহের জন্য সর্বাত্মক লকডাউন ‘বাস্তবায়ন’ করবে সরকার। এ সাত দিনে আভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিক রুটের সকল ফ্লাইট বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)।

বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী আগামী ১৪ এপ্রিল রাত ১২টা থেকে ২০ এপ্রিল রাত ১২ টা নাগাদ বাংলাদেশ থেকে সকল আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বন্ধ থাকবে। তবে, লকডাউনের সময়ে অনুমতি নিয়ে কার্গো বিমান, স্পেশাল/চার্টার্ড ফ্লাইট চলাচল করতে পারবে বলে জানিএয়ছে বেবিচক।

লকডাউনের কারণে বিমান চলাচল বন্ধের সময় যাদের ফ্লাইট ছিলো, তাদেরকে কোনো ধরনের ভর্তুকি ছাড়াই বিনামূল্যে টিকিট পুনরায় ইস্যু করার ঘোষণা দিয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। এদিকে আন্তর্জাতিক রুটে ফ্লাইট বন্ধ ঘোষণা করায় চরম আ;;তং;কের মধ্যে রয়েছেন বিদেশগামী নতুন যাত্রী সহ দেশে ছুটিতে আসা প্রবাসীরা। এরমধ্যে যেসব প্রবাসীর ভিসার মেয়াদ শেষের দিকে অথবা যারা ইতিমধ্যেই টিকিট কেটে ফ্লাইটের জন্য অপেক্ষা করছেন, তাদের যেন মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ার উপক্রম।

ফ্লাইট বন্ধের বি;রো;ধিতা করে ব্র্যাক মাইগ্রেশনের প্রধান শরিফুল হাসান বলেন, “জীবিকার তাগিদে বাংলাদেশ থেকে রোজ হাজারো প্রবাসী কর্মী বিদেশে যাচ্ছেন।” আন্তর্জাতিক রুটে তাই বিমান চলাচল বন্ধ না করার অনু;রো;ধ জানিয়ে তিনি বলেন, “অন্তত বাংলাদেশ নিজে থেকে যেন এই সিদ্ধান্ত না নেয়। গত তিন মাসে প্রায় দেড় লাখ কর্মী বিদেশে গেছেন। এখনো রোজ যাচ্ছেন।” শরিফুল হাসান আরো বলেন, “বিদেশে গেলে করোনা ছড়ায় না।

আর নেগেটিভ সনদ নিয়েই এরা যাচ্ছেন। প্রয়োজনে বিশেষ বিমান দেন। কারণ একবার যাওয়া পিছিয়ে গেলে পরে নানা সং;ক;ট তৈরি হয়। টিকেটের দামও বাড়ে। মনে রাখবেন কোভিডের মধ্যেও রেকর্ড পরিমাণ প্রবাসী আয় এসেছে। কাজেই বৈদেশিক এই কর্ম;সংস্থানটা যেন কোনোভাবেই বন্ধ না হয়।”